ইরানের হুঁশিয়ারি: আবার নিষেধাজ্ঞা এলে ইউরোপের ভূমিকাই থাকবে না!
ইরান জানিয়েছে, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনরায় কার্যকর হলে পারমাণবিক আলোচনায় ইউরোপীয়দের সম্পৃক্ততা একেবারে শেষ হয়ে যাবে।


এবিএনএ: পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের চাপের মুখে ইরান এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা যদি পুনর্বহাল করা হয়, তবে ইউরোপের সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক আলোচনার দ্বার বন্ধ হয়ে যাবে।
শনিবার তেহরানে এক অনুষ্ঠানে কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে কথা বলতে গিয়ে আরাগচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনা শুরু করার প্রক্রিয়া নিয়ে ইরান এখনও পর্যালোচনা করছে। আলোচনার সময়, স্থান, কাঠামো ও সম্ভাব্য বিষয়বস্তু নিয়ে সুক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, আলোচনার পরিধি থাকবে কেবলমাত্র পারমাণবিক কর্মসূচি ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে আস্থা অর্জন, কোনোভাবেই সামরিক সক্ষমতা আলোচনায় আসবে না।
গত জুন মাসে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র ও সামরিক ব্যক্তিত্বদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যাতে শতাধিক মানুষ নিহত হন। এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএর প্রতি গভীর অনাস্থা প্রকাশ করে তেহরান, এবং ঘোষণা দেয় সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার।
আরাগচি জানান, এখন থেকে আইএইএর সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে ‘নতুন কাঠামোতে’। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান একটি নতুন আইনে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে যদি আইএইএ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় পরিদর্শন করতে চায়, তবে সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়া তা সম্ভব হবে না।
তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা ও তেজস্ক্রিয়তা ঝুঁকি বিবেচনায় শুধু ইরানেরই নয়, আইএইএর পরিদর্শকদের নিরাপত্তাও গুরুত্বপূর্ণ। সুরক্ষার দিক বিবেচনায় প্রতিটি পরিদর্শনের জন্য আলাদা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরাগচি বলেন, ‘আমরা আমাদের সার্বভৌম অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ছাড় দেব না। ইউরোপীয় দেশগুলো যদি নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটে, তবে তাদের আর কোনো অংশীদারিত্ব থাকবে না ইরানের পারমাণবিক ভবিষ্যতে।’