এবিএনএ:   সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে মাত্র ৮৭ ঘণ্টায় ভারতের অর্থনীতিতে প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে, যা আধুনিক যুদ্ধের ব্যয়বহুল বাস্তবতাকে সামনে এনেছে। অপারেশন সিঁদুর নামে পরিচিত এই অভিযানে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ৯টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে, যার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালায়।

ভারতের এই অভিযানে ব্যবহৃত হয় ফ্রান্সের তৈরি রাফায়েল যুদ্ধবিমান, যা স্কাল্প ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও এএএসএম হ্যামার বোমা বহন করছিল। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা তিনটি রাফায়েল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। ভারতীয় বিমানবাহিনী এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত না করলেও, সংঘাতে বিমান হারানোর বিষয়টি অস্বীকার করেনি।

অর্থনৈতিক দিক থেকে, ভারতের শেয়ারবাজারে প্রায় ৮২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। উত্তর ভারতের আকাশপথ বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক বিমান ক্ষতি হয়েছে। আইপিএল স্থগিত হওয়ায় ৫০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে সম্প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে। সামরিক অভিযানে খরচ হয়েছে ১০০ মিলিয়ন ডলার, এবং রাফায়েল যুদ্ধবিমানের ক্ষতির মূল্য প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। সরবরাহ ব্যবস্থার বিঘ্নে ক্ষতি হয়েছে ২ বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের কেএসই-১০০ সূচক ৪.১ শতাংশ কমে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। পিএসএল স্থগিত হওয়ায় ১০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে সম্প্রচার খাতে। আকাশপথ বন্ধ থাকায় বিমান খাতে ২০ মিলিয়ন ডলারের লোকসান হয়েছে। সামরিক অভিযানে দৈনিক ২৫ মিলিয়ন ডলার এবং ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে।

এই সংঘাতের ফলে বোঝা যাচ্ছে, আধুনিক যুদ্ধ শুধুমাত্র সামরিক নয়, বরং অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত এবং মানবিক দিক থেকেও ব্যাপক প্রভাব ফেলে। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে, যা ভবিষ্যতে যুদ্ধের কৌশল ও পরিকল্পনায় নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।