ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধের ছায়া: সক্রিয় হলো সর্বাধুনিক অস্ত্র
ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও তীব্র গোলাবর্ষণে সীমান্তে উত্তেজনা চরমে; জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদে আলোচনার ইঙ্গিত

এবিএনএ: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সীমান্ত সংঘর্ষ আরও ভয়াবহ আকার নিতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা। দুই দেশের সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
সাম্প্রতিক ঘটনায়, সীমান্তজুড়ে প্রতিরাতেই ভারী গোলাবর্ষণ ঘটছে। গতকাল রাতেও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, গত দুই দিনে ভারতের মোট ৭৭টি ড্রোন তারা ভূপাতিত করেছে। অন্যদিকে, ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশের চেষ্টাকালে তাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সাত সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করেছে এবং পাকিস্তানের একটি সামরিক চৌকি ধ্বংস করেছে।
ভারতীয় সেনার মতে, পাকিস্তান নিয়মিতভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। কাশ্মীর সীমান্তে গোলাবর্ষণের ফলে ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি এক নারী নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। উরি অঞ্চলে এই হামলা হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতরাতে পাকিস্তান ভারতের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০০ ড্রোন পাঠিয়েছে, যেগুলোর অনেকগুলো অস্ত্রবিহীন থাকলেও ক্যামেরা যুক্ত ছিল এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান কাশ্মীরের উধমপুর এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোটে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে, যদিও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। পাকিস্তান এসব অভিযোগ নাকচ করে বলেছে, ভারতের এসব দাবি ভিত্তিহীন।
এদিকে পাকিস্তানের আইএসপিআর জানিয়েছে, ভারতের হারপ ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে তাদের বাহিনী। এসব ড্রোন রাওয়ালপিন্ডি, গুজরানওয়ালা, লাহোরসহ বেশ কয়েকটি শহরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের লড়াইয়ে প্রায় ২৫ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে এবং পাকিস্তান পক্ষেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে নিহত পাকিস্তানি সেনাদের নির্দিষ্ট সংখ্যা তিনি জানাননি।
তীব্র এই উত্তেজনার মধ্যেই দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদ পর্যায়ে যোগাযোগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, এখনই সংলাপ শুরু করা ছাড়া বিকল্প নেই এবং আন্তর্জাতিক মহল এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।
Share this content: