হিমাচলে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মৃত ৬৩ ছাড়ালো, নিখোঁজ বহু, জারি অরেঞ্জ অ্যালার্ট
টানা বৃষ্টিতে ধস ও বন্যায় বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩, নিখোঁজ বহু মানুষ, আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত ভারী বর্ষণের সতর্কতা


এবিএনএ: ভারতের হিমাচল প্রদেশে অব্যাহত ভারী বর্ষণে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। পাহাড়ি এলাকা জুড়ে ধসে পড়েছে একাধিক গ্রাম, বহু জায়গায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাজ্যে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩ জনে, নিখোঁজ রয়েছেন আরও বহু মানুষ।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (IMD) হিমাচলের মান্ডি, কাংড়া, চম্বা, শিমলা সহ পার্বত্য অঞ্চলে আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে। বিশেষভাবে মান্ডি জেলা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, যেখানে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের, নিখোঁজ অন্তত ৪০ জন। এছাড়া কাংড়ায় ১৩, চম্বায় ৬ ও শিমলায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বাকি জেলাগুলোর মধ্যে বিলাসপুর, কুল্লু, কিন্নর, লাহৌল-স্পিতি, সিরমোর, সোলান, হামিরপুর ও উনাতেও প্রাণহানির খবর মিলেছে।
প্রদেশজুড়ে আহতের সংখ্যা অন্তত ১০০ ছাড়িয়েছে। ধ্বসে পড়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি, পানির তোড়ে ভেসে গেছে ১৪টি সেতু। প্রায় ৫০০টি রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে, যা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে বহু অঞ্চলকে।
পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরমধ্যেই হিমাচলের রাজ্য বিপর্যয় দপ্তর জানিয়েছে, প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যদিও প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, গুজরাট, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছে এবং এনডিআরএফ-এর একাধিক দল ইতিমধ্যেই মোতায়েন রয়েছে।
রাজ্য প্রশাসন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF), পুলিশ ও সেনা যৌথভাবে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত হিমাচলের মানুষদের জন্য এটি এক দীর্ঘ ও কঠিন লড়াই হয়ে উঠতে চলেছে।