এবিএনএ: 

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যা ওয়াশিংটনের ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা খাতের টানাপোড়েনকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।

শুক্রবার, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, বোস্টন আদালতে দায়ের করা মামলায় হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে— বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত মার্কিন আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।

মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক ঘোষণায় জানানো হয়, হার্ভার্ড সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় নতুন কোনো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি পাবে না, এবং বর্তমানে ভর্তি থাকা বিদেশিদের স্থানান্তর বা দেশে ফেরত যেতে হবে, অন্যথায় তাদের বৈধতা বাতিল হয়ে যাবে।

এর জবাবে হার্ভার্ড বলছে, এটি শুধুই বৈধতা নয়, বরং শিক্ষার নৈতিক আদর্শের ওপর হামলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র জেসন নিউটন বলেন, “আমরা আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। এই ধরনের প্রতিশোধমূলক সিদ্ধান্ত শিক্ষার ভবিষ্যতের জন্য হুমকি।”

উল্লেখ্য, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই হার্ভার্ডকে দেওয়া ২৬৫ কোটি ডলারের কেন্দ্রীয় অর্থ সহায়তা হ্রাস করে। প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নীতি অনুসরণের অভিযোগ এনেছে।

হার্ভার্ডের মতে, গত শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ৭ হাজার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী মোট ভর্তির ২৭.২ শতাংশ ছিল। এই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী বিদেশিদের মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়াবে, যা আমেরিকার বৈশ্বিক শিক্ষা নেতৃত্বকেও প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে।