ইরান-ইসরায়েল শান্তি চুক্তি সময়ের ব্যাপার মাত্র—ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিস্ময়কর দাবি
নিজের সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংলাপ শিগগিরই শান্তিচুক্তিতে পরিণত হতে পারে


এবিএনএ:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশাবাদী যে, দীর্ঘ সময় ধরে উত্তেজনায় থাকা ইরান ও ইসরায়েল এখন শান্তির পথে হাঁটতে যাচ্ছে। তার মতে, এই দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা খুবই নিকটবর্তী।
নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ পোস্ট করে ট্রাম্প বলেন, “আমরা খুব দ্রুতই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তির সূচনা দেখতে পাব। বহু ফোনকল এবং বৈঠক ইতোমধ্যে চলছে।” তবে এই আলোচনার ধরন বা অংশগ্রহণকারীদের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
❖ আগে যুদ্ধের প্রশংসা, এখন শান্তির বার্তা
যখন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বড় আকারের সামরিক অভিযান শুরু করেছিল, ট্রাম্প সেই আক্রমণকে “দারুণ” এবং “সফল” বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। অথচ বর্তমানে তিনি শান্তি স্থাপনের বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন—যা তার অবস্থানে এক ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
❖ বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে মার্কিন ভূমিকা ধোঁয়াশাপূর্ণ
ওয়াশিংটন ভিত্তিক রিপোর্টার রোসিল্যান্ড জর্ডান জানিয়েছেন, ট্রাম্পের “অনেক কল ও বৈঠক” নিয়ে কথা বলা এই প্রথম—যেখানে বর্তমান বাইডেন প্রশাসন এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন কূটনৈতিক কার্যক্রমে এখন দ্বৈত বার্তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের কূটনৈতিক ও সামরিক উপস্থিতি আংশিকভাবে সীমিত করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার পূর্বাভাস ওয়াশিংটন আগেই পেয়েছিল, এবং সেই অনুযায়ী কিছু প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
❖ মার্কিন প্রশাসনের অবস্থান
বর্তমান মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, তারা ইরান-ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতকে কোনোভাবেই বাড়তে দিতে চায় না। পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওমানে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হলেও, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় ওয়াশিংটনের আগ্রহ অটুট রয়েছে।
বিশ্ব কূটনীতিতে এই মুহূর্তে ইরান-ইসরায়েল ইস্যু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্পের দাবি বাস্তব হয়ে উঠলে, তা হবে মধ্যপ্রাচ্য ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
📌 মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও বিশ্লেষণ পেতে চোখ রাখুন আমাদের পোর্টালে।
Share this content: