ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার তিন হামলাকারী
বটতলা ফোয়ারার কাছে হামলা, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত সাম্য; সিসিটিভি বিশ্লেষণে শনাক্ত ও গ্রেফতার ৩ জন


এবিএনএ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, সাম্য ও তার দুই বন্ধুর ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় ১০-১২ জনের একটি দল, যাদের মধ্যে কেউ একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাম্যের উরুতে আঘাত করে।
ডিএমপি জানায়, মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে সাম্য তার দুই বন্ধু নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ফিরছিলেন। পথে রমনা কালীমন্দিরের উত্তরে পুরনো ফোয়ারার কাছে একটি দল তাদের গতি রোধ করে মোটরসাইকেল ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
পরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের একপর্যায়ে, হামলাকারীরা ইট দিয়ে আঘাত করতে শুরু করে এবং এক ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাম্যের ডান পায়ের উরুর পেছনে আঘাত করে। রক্তক্ষরণে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাম্য। হামলাকারীরা ভয় দেখিয়ে স্থান ত্যাগ করে।
আহত অবস্থায় সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাম্যের বড় ভাই শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ এবং সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনজনকে শনাক্ত করে। গ্রেফতার তিনজন হলেন—তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) ও পলাশ সরদার (৩০)। তাদের শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে বুধবার সকালে গ্রেফতার করা হয়।
সাম্য ছিলেন স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর ওপর এ ধরনের নৃশংস হামলা গোটা শিক্ষাঙ্গনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের মূল কারণ ও বাকি জড়িতদের আইনের আওতায় আনা কত দ্রুত সম্ভব হয়।
Share this content: