ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ: ভিপি প্রার্থীদের স্বচ্ছতার দাবি
ভোট টার্নআউট ও ব্যালট পেপার নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্বাক্ষর তালিকা প্রকাশে জোর দাবি তিন ভিপি প্রার্থীর।


এবিএনএ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নানা ধরনের অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগ তুলেছেন তিন ভিপি প্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ— প্রশাসন বিষয়গুলো জানার পরও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর গাউসুল আজম মার্কেটের একটি ছাপাখানায় ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া যায়। কিন্তু প্রশাসন এর সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, ঘোষিত ভোট টার্নআউট বাস্তবতার সঙ্গে মিলছে না। এ কারণে ভোটারদের স্বাক্ষর তালিকা প্রকাশ করার জোর দাবি জানান প্রার্থীরা। উমামা ফাতেমা বলেন, “আগেও ভোটারের তালিকা প্রকাশ হয়েছে যেখানে শুধু স্বাক্ষর থাকে, ভোটের গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হয় না। তাহলে এবার কেন তালিকা গোপন রাখা হচ্ছে?”
বিশেষ করে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ঘোষিত টার্নআউট বাস্তবে ভিন্ন ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আব্দুল কাদের বলেন, “ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার পরও প্রশাসনের নীরবতা সন্দেহজনক। ভোট কাস্টিং তালিকাও প্রকাশ করছে না তারা।”
অন্যদিকে আবিদুল ইসলাম খান জানান, “নির্বাচনের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা এই বিষয়গুলো উত্থাপন করেছি। কিন্তু প্রশাসনের নির্লিপ্ততা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম, স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী আরাফাত চৌধুরী এবং এজিএস প্রার্থী শেখ তানভীর আল হাদী মায়েদসহ অন্যরা।
তবে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। একইভাবে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদও সাংবাদিকদের কাছে নীরব থাকেন।