আবারও করোনা সতর্কতা, টিকার বাড়তি ডোজ নিতে বলা হচ্ছে এইসব ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের
নতুন ভ্যারিয়েন্টে বাড়ছে সংক্রমণ, ষাটোর্ধ্ব, গর্ভবতী ও জটিল রোগীদের অতিরিক্ত টিকা নেওয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের


এবিএনএ:
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ফের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেশ কয়েকটি শ্রেণির মানুষকে অতিরিক্ত করোনা টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর জানিয়েছেন, বর্তমানে সরকারের কাছে রয়েছে ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৯০০ ডোজ টিকা, যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে গর্ভবতী নারী, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া রোগী এবং জটিল শারীরিক সমস্যায় ভোগা মানুষদের।
তিনি বলেন, “যারা এখনো টিকা নেননি, তাদের মধ্যে ‘হাই রিস্ক’ গ্রুপে থাকা ব্যক্তিরা যেমন—ফ্রন্টলাইন ও কনট্যাক্ট কর্মী, গর্ভবতী নারী ও ইমিউনো-কমপ্রোমাইজড রোগীদের অবশ্যই টিকা নিতে হবে। আর যারা আগেই টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে যাদের বয়স ৬০ পেরিয়েছে বা কোমর্বিডিটি আছে, তাদের ছয় মাস পর বুস্টার ডোজ নেওয়া উচিত।”
🔄 পুরনো টিকাও কার্যকর:
রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. হালিমুর রশিদ জানিয়েছেন, “বর্তমানে মজুত থাকা টিকাগুলো ওমিক্রন উপযোগী না হলেও রোগের তীব্রতা কমাতে সহায়ক হবে। WHO নির্দেশনায় বলা হয়েছে—লেটেস্ট না থাকলেও আগের টিকাও নিরাপদ ও কার্যকর।”
তিনি আরও জানান, ২০২৪-২৫ সালের জন্য যেসব টিকা এসেছে, সেগুলোই দেওয়া হবে এবং নতুন টিকার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযোগের প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে।
🧪 করোনা পরীক্ষা ও হাসপাতাল প্রস্তুতি:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, সকলের করোনা পরীক্ষা করানো এখনই প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী RT-PCR করা হবে। বিভিন্ন হাসপাতালে প্রয়োজন অনুযায়ী কিট পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশের জেলা হাসপাতালগুলোতে শয্যা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান জানান, “প্রতিটি সরকারি হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
Share this content: