নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা
ম্যানহাটনের বহুতল ভবনে বন্দুকধারীর হামলায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম, সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে গেলেন তিনি


এবিএনএ: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনে বন্দুকধারীর ভয়াবহ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। সোমবার সন্ধ্যায় ম্যানহাটনের একটি বহুতল ভবনে ঘটে যাওয়া এই হামলায় দিদারুলসহ মোট পাঁচজন নিহত হন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দিদারুল ওই ভবনের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পাশাপাশি, তিনি নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে (NYPD) সাড়ে তিন বছর ধরে কর্মরত ছিলেন।
👪 পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবন
দিদারুল ইসলাম থাকতেন বঙ্কস কাউন্টিতে। তার স্ত্রী গর্ভবতী এবং তাঁদের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান। পরিবারের তৃতীয় সন্তান এখনো পৃথিবীর আলো দেখেনি। দিদারুলের অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবর শুনেই আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবেরা রাস্তায় নেমে আসেন।
🔫 হামলার বিস্তারিত
নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ জানিয়েছেন, বন্দুকধারী শেন ডেভন তামুরা (২৭) একটি কালো রঙের বিএমডব্লিউ গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে আসে।
ঘটনার সময় তার গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় একটি লোডেড রিভলবার, রাইফেলের কেস, ম্যাগজিন ও কিছু ওষুধ। তদন্তে জানা গেছে, তামুরা চারজনকে গুলি করে হত্যা করার পর নিজেও আত্মহত্যা করে।
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই তামুরা নেভাদা থেকে গাড়ি চালিয়ে নিউ ইয়র্কে আসে। তবে, সে কেন এই হামলা চালিয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
🕵️♀️ তদন্তের অগ্রগতি
এফবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে শেন তামুরার বিরুদ্ধে কোনো পূর্ব রেকর্ড পাওয়া যায়নি। তার এই আচরণের পেছনে কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পাওয়া না গেলেও তদন্ত চলছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিউ ইয়র্কবাসী এবং বাংলাদেশি কমিউনিটি গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দিদারুল ইসলামকে স্মরণ করছে সবাই এক সাহসী ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তারূপে, যিনি নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন।