জাতীয়লিড নিউজ

সরকারের বিবৃতিতে চমক: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায়

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পর এবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে সরকার বলল, দ্রুত সিদ্ধান্ত আসছে

এবিএনএ:  সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। জনমতের প্রতি সম্মান জানিয়ে সরকার এই দাবিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ে জাতিসংঘের যে প্রতিবেদন রয়েছে, তা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সরকার আলোচনা করছে, যাতে এই বিষয়ে একটি দ্রুত গণমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।

প্রধান উপদেষ্টা তার বার্তায় সবাইকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা জনগণের মতামতকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সকল সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এর আগে, জনদাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সেই সিদ্ধান্তকে ‘গণতান্ত্রিক চেতনার বিজয়’ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

এছাড়াও, সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে সংশোধনী এনে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এতে প্রমাণিত হচ্ছে, নতুন সরকার রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা বজায় রেখে আইনানুগভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

এদিকে, আওয়ামী লীগ আমলের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের হঠাৎ করে বিদেশ গমনে জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়ে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

উল্লেখ্য, আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা ঘটার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়। এই দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার জুমার নামাজের পর সেখানে বড় ধরনের সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়।

এনসিপি নেতারা জানিয়েছেন, জনগণের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ বিবৃতিতে একটি নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা ঘটতে পারে।

Share this content:

Back to top button