নেপালে সংসদ ভবনে আগুন: উত্তাল বিক্ষোভের মাঝে কাঠমান্ডুর মেয়রের শান্ত থাকার আহ্বান
দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে জেন-জির আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ নেপাল, সংসদ ভবনে অগ্নিসংযোগের পর মেয়র বালেন্দ্র শাহের সংযমের ডাক


এবিএনএ: দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে চলমান তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নেপাল। টানা বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি পদত্যাগ করলেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন শহরে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনে হামলা চালিয়ে ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ করেছে।
সংসদ সচিবালয়ের মুখপাত্র একরাম গিরি জানান, শত শত বিক্ষোভকারী মূল চত্বরে প্রবেশ করে ভাঙচুরের পর আগুন লাগায়। এতে সংসদ ভবনের বিভিন্ন অংশে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শুধু সংসদ ভবনই নয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাসহ একাধিক শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার বাড়িঘরও আক্রান্ত হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে তরুণদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। তাই এখন আর প্রাণহানি বা সম্পদ ধ্বংস কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারি-বেসরকারি সম্পদ আমাদের সবার যৌথ সম্পদ, এগুলো নষ্ট করলে ক্ষতিগ্রস্ত হব আমরা নিজেরাই।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “জাতীয় সম্পদ ধ্বংস মানে সবার ক্ষতি। দয়া করে শান্ত থাকুন এবং সংযম প্রদর্শন করুন। এখান থেকেই আপনাদের প্রজন্মকে ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব দিতে হবে।”
এর আগে সোমবার দেশব্যাপী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত ও ৪০০ জনের বেশি আহত হন। এই সহিংসতা ও জনচাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী ওলি পদত্যাগ করেন। তবে সরকারের পতনের পরও তরুণদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দুর্নীতি প্রতিরোধ, কাঠামোগত সংস্কার ও রাজনৈতিক জবাবদিহির দাবিতে তরুণদের নেতৃত্বাধীন এ আন্দোলন এখন এক নতুন বাঁকে পৌঁছেছে। দ্রুত সমাধান না হলে নেপালের রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর হতে পারে।