অর্থ বাণিজ্যলিড নিউজ
এক কেজি পেঁয়াজে এক কেজি মুরগী!


এবিএনএ : প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম এখন ১২০ টাকা! যে টাকায় এখন এক কেজি মুরগী কিনতে পারা যায়। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি! সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র হিসেবেও প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের এই দর তুলে ধরা হয়েছে। এদিকে লাগামহীনভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ক্রেতারা হতাশ। গত বছর এই সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে। এছাড়া গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজের উৎপাদন ও আমদানি দুটোই বেড়েছে। তাহলে কেন বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম?
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। বিশেষ করে ভারত পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বাড়ায় দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির বাজারে রীতিমতো ‘আগুন’ লেগেছে। দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের রফতানি মূল্য একলাফে টন প্রতি ৩৫২ ডলার বাড়িয়েছে ভারত। এর প্রভাবেই পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে।
টিসিবির হিসেবেই শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। অথচ এক সপ্তাহ আগেও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা ও দেশী পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সরকারের এ সংস্থাটির হিসেবে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ ও দেশী পেঁয়াজ ৩৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। আর গত এক বছরের ব্যবধানে দেশী পেঁয়াজের দর ২০৯ শতাংশ আর আমদানিকৃত পেঁয়াজে ২০৭ শতাংশ বেড়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশে বছরে ২২ থেকে ২৪ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে ১৮ লাখ ৬৬ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ১ লাখ ৩১ হাজার টন বেশি। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, আলোচ্য সময়ে দেশে ১০ লাখ ৪১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার টন বেশি। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে পেঁয়াজের জোগান এসেছে ২৯ লাখ টন। যা চাহিদার চেয়ে ৭ লাখ টন বেশী। তারপরও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।