বাংলাদেশরাজনীতিলিড নিউজ

সিলেট সিটিতে নাগরিক কমিটির প্রার্থী সেলিম!

এবিএনএ : সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থীতা করছেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম। তবে, দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি নাগরিক কমিটির ব্যানারে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচনে লড়ছেন। এক্ষেত্রে দলের পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন তিনি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঠিক এক দিন আগে রোববার সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন ফোরামে তাকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। তিনি শেষপর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন নাকি নির্বাচনে লড়বেন, এনিয়েও অনেক কৌতুহল ছিল নগরে। তবে প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলন করে তিনি প্রার্থীতার বিষয়টি ঘোষণা করায় তার প্রার্থীতা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটলো। সংবাদ সম্মেলনে সেলিম বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সদ্য সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে তিনি আরিফের বিভিন্ন সমালোচনাও করেন। তিনি বলেন, ‘দলের বর্তমান নেতৃত্বের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আরিফুল হক চৌধুরীর মনোনয়নপত্র তৃণমূলের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রত্যাহার করে আমাকেই তারা  সমর্থন দিবেন।’
এক্ষেত্রে দল যদি সমর্থন নাও দেয়, তবুও তিনি নগরবাসীর খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে নাগরিক কমিটির প্রার্থী হিসাবে  মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানান। এর ফলে দলের সব ধরনের দায়িত্ব থেকে তিনি অব্যাহতি নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। এছাড়া দল যে ব্যবস্থা নিবে তা মেনে নিতেও প্রস্তত বলে জানান তিনি।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন সদস্য সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসেইন, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি, সহসভাপতি রেজাউল হাসান লোদী কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক বরুজ্জামান সেলিমসহ ছয়জন।
তারা সবাই দলের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে সাক্ষাতকার দেন। এতে বাকি পাঁচজনই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে আরিফের সমালোচনা করে বক্তব্য প্রদান করেন। যদিও ২৭ জুন ঢাকায় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আরিফকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।  এসময় বাকি চারজন আরিফকে মেনে নিয়ে তার পক্ষে কাজ শুরু করেন।
তবে বদরুজ্জামান সেলিম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তিনি তার অনুসারীদের নিয়ে প্রচার কাজও শুরু করেন। এরপর থেকে সেলিমের মান ভাঙ্গানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। তবে কাউকেই পাত্তা দিচ্ছেন তিনি।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button