খেলাধুলালিড নিউজ

সমঝোতার পর গভীর রাতে ক্রিকেটারদের বৈঠক

এবিএনএ: সাকিব আল হাসান বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে পাশে রেখেই বলেছেন, ‘দাবি দাওয়া বাস্তবায়ন হলেই আমরা খুশি।’ সাকিবের কথা স্পষ্ট দাবি দাওয়া মানতেই হবে। বোর্ডও আশ্বস্ত করেছে ক্রিকেটারদের সব দাবি দাওয়া মেনে নেবে। বোর্ডের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ক্রিকেটাররা। ফলে ক্রিকেটের ওপর যে কালো মেঘ জমে ছিল তা কেটে গেছে। কিন্তু দাবি দাওয়াগুলো বাস্তবায়ন কতটা হবে তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা! সেই শঙ্কা থেকেই সমঝোতা হওয়ার পরও গভীর রাতে আবার বৈঠকে বসেছিলেন ক্রিকেটাররা।

বোর্ড রুম থেকে বের হয়ে একাধিক ক্রিকেটাররা গিয়েছিলেন বোর্ড সভাপতির রুমে। সেখানে বোর্ডের এক কর্মকর্তার সঙ্গে হট্টগোল বাঁধে শামসুর রহমান শুভর। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অপ্রিয় কথা চালাচালিও হয়েছে সেখানে।  সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর সবাই চলে যায় ড্রেসিং রুমে।  রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলে সেখানে।

রাত যখন একটা সাকিব সবার আগে ড্রেসিং রুম থেকে বেরিয়ে আসেন।  মুখে ছিল না কোনো হাসি।  চুপচাপ গাড়িতে উঠে চলে যান। এরপর একে একে বেরিয়ে আসেন সবাই।  গভীর রাতে ক্রিকেটারদের আবার বৈঠকে বসার কারণ কি, এ নিয়ে কেউই কথা বলতে রাজী হননি।  একজন বলছেন,‘ফাইনাল টাচ।’ একজন বলছেন, ‘নিজের মধ্যে কথাগুলো রিভিউ করা।’ তবে জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটাররা রয়েছেন সংশয়ে।  সমঝোতায় ভরসা পাচ্ছেন না তারা, ‘মনে হচ্ছে না খুব বেশি কিছু পেলাম!’ অভিজ্ঞ এক ক্রিকেটারের কথা, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়েছি। বোর্ড আশ্বাস করেছেন। সবই হয়েছে প্রকাশ্যে। এরপরও যদি….।’

কথা শেষ করতে পারেন না ওই ক্রিকেটার। রাত দেড়টায় তামিম ইকবাল বেরিয়ে আসেন সবার শেষে।  বোর্ড রুম থেকে তামিম যখন বের হন তার অবয়বে ছিল না প্রাপ্তির আনন্দ।  শেষ রাতেও তামিম ছিলেন বিমর্ষ।  কোনো কথা না বলে বেরিয়ে যান মিরপুর শের-ই-বাংলা থেকে। জানা গেছে, বোর্ড সভাপতির আশ্বাস প্রত্যেকেই নিয়েছেন ভালোভাবে। রাতের বৈঠকে নিজেদের পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ক্রিকেটাররা এখন মাঠে ফিরে পুরোপুরি খেলায় মনোযোগ দেবেন। নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হবে না কোনো। বোর্ডের পরবর্তী মুভমেন্টের উপর নির্ভর করবে তাদের পরবর্তী করণীয়।

বোর্ডের আশ্বাসে ক্রিকেটাররা ধর্মঘট উঠিয়ে নিয়েছেন। বুক ভরা আত্মবিশ্বাস না পেলেও মাঠে ফিরতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। মাঠেই নিজেদের মনোযোগ দেওয়াকে যৌক্তিক মনে করছেন সিনিয়র এক ক্রিকেটার, ‘এখন এসব নিয়ে ভাবনার থেকে আমাদেরকে খেলা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। সবার লিগ যেন ভালো যায়, সবাই যেন নিজেদের মতো করে পারফর্ম করতে পারে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করা উচিত।’ দেশের ক্রিকেটে গত তিন দিন ছিল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার। ‘কী হতে যাচ্ছে’– এমন শঙ্কা নিয়ে শুরু হয়েছিল ক্রিকেটারদের আন্দোলন। শেষটাও হলো শঙ্কা নিয়ে, কি পেতে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা!

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button