প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২০, ২০২৫, ৪:৩৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ৩০, ২০১৮, ৯:৫১ পি.এম

এবিএনএ : পাবনার ঈশ্বরদীতে শুক্রবার ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বৃদ্ধা মারা গেছেন এবং দেশের বিভিন্নস্থানে ৬০জন আহত হয়েছেন। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ঘড়-বাড়ি ও ফসলের।
পঞ্চগড়: শিলাবৃষ্টিতে ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টি ও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় প্রচুর পরিমাণে শিলাবৃষ্টি পড়ে। জেলা সদরে ৩৭ মিলিমিটার শিলাবৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ তাৎক্ষণিক ক্ষয় ক্ষতির পরিমান জানাতে পারেনি। এদিকে সকাল থেকে গোটা জেলা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে শহরের মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ঠাকুরগাঁও: সদর উপজেলায় শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শিলাবৃষ্টি হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন জানিয়েছেন।
ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা: ঈশ্বরদীতে শুক্রবার বিকেলে শিলাবৃষ্টিতে বৃদ্ধা মারা গেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঈশ্বরদী শহর হতে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে। নিহত বৃদ্ধা জোমেনা খাতুন ওই গ্রামের মৃত দেলবার সরদারের স্ত্রী।
তার ছেলে আলম সরদার জানান, বাড়ির পেছনে ফাঁকা জায়গায় গাছের পাতা ঝাড়ু দিতে গেলে বিকেল চারটার দিকে ঝড় এবং শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। শিলাবৃষ্টির আঘাতে জোমেনা খাতুন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
কাহারোল (দিনাজপুর): বেলা সোয়া ১১টায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে অনেকের টিন চাল উড়ে গেছে।
ঝিনাইগাতী (শেরপুর): ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার উপর দিয়ে প্রচণ্ড বেগে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসল, শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পরে ও গাছের ডাল ভেঙ্গে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ আ. আওয়াল বলেন, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে কি পরিমানের ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
ডোমার (নীলফামারী): উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ১০ হাজার টিনের ঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টা হতে ১০টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টার শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়ে আম, লিচু, মরিচ, তামাক, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলার আঘাতে প্রায় ৫০জন আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
ভোগাডাবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক জানান, ঝড়সহ শিলাবৃষ্টিতে আমার ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি বাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলার আঘাতে প্রায় ৫ হাজার টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে।
কেতকীবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক দিপু বলেন, আমার ইউনিয়নের প্রায় আড়াই হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোমনাতি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ বলেন, এ ইউনিয়নে প্রায় দুই হাজার ঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জোড়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসান বলেন, আমার ইউনিয়নে ৬টি ওয়ার্ডে প্রায় ৫শতাধিক ঘর ক্ষতি হয়েছে। বামুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ওহায়েদুজ্জামান বুলেট বলেন, শিলাবৃষ্টিতে এ ইউনিয়নে ৬ শতাধিক ঘর, ফলের গাছ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ফাতিমা জানান, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘড়-বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপণ করা সম্ভব হয় নাই। আমারা তাৎক্ষণিকভাবে ত্রাণ তহবিল হতে কিছু কম্বল, শাড়ি-লুঙ্গি, শুকনো খাবার ও নগদ টাকা সহায়তা দিচ্ছি। ইউপি চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও ত্রাণ অধিদফতরে অবহিত করা হয়েছে।
চাটমোহর (পাবনা): চাটমোহরে শুক্রবার বিকেল পৌনে ৩টার সময় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টির সাথে অসংখ্য ছোট-বড় শিলার আঘাতে আম, লিচু, গমসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের উপর দিয়ে এই শিলাবৃষ্টি হয়।
মিঠাপুকুর (রংপুর): বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝড়ের হানায় মিলনপুর, বালুয়া মাসিমপুর, বড়বালা, খোড়াগাছ ও ময়েনপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। শিলাবৃষ্টির বড় বড় খণ্ডে মিলনপুর, বালুয়া মাসিমপুর ও বড়বালা ইউনিয়নের বাড়ি ঘড়ের টিনের চাল ফটো হয়ে গেছে।
ফুলবাড়ি (দিনাজপুর): ফুলবাড়িতে শুক্রবার ঝড়সহ শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, ফসল, ইটভাটাসহ গাছপালা ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে দুই শিশু, ছয় নারীসহ ১০জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এটিএম হামীম আশরাফ বলেন, ঝড়সহ শিলাবৃষ্টিতে কি পরিমাণ ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে গোটা উপজেলায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বলা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, ঝড়সহ শিলাবৃষ্টিতে উপজেলায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটার তালিকা তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পাওয়া গেলে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে সহায়তা দেয়া হবে।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.