মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধানে দেশটির সরকার গঠিত আনান কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন কফি আনান। মিয়ানমার সরকারের কাছে রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানের প্রক্রিয়া নিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তার নেতৃত্বাধীন কমিশন।শুক্রবার রাতে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তিনি সদস্য দেশগুলোর কাছে এমন একটি প্রস্তাব আনার আহ্বান জানান, যা মিয়ানমারের ‘সরকারকে সত্যিকার অর্থেই মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টির পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে।নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কফি আনান। সে সময় রোহিঙ্গাদের প্রশ্নে তিনি বলেন, শরণার্থী শিবিরে পাঠানো উচিত নয়। তাদের পুনর্গঠনে সাহায্য করতে হবে।এর আগে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি বলেছিলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত গণহত্যা ও সহিংসতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আলোচনা চলছে। তবে কী পদ্ধতিতে তাদের ফেরত নেওয়া হবে এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দেননি তিনি।  এছাড়া আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদ পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে জাতিসংঘে মিয়ানমারের প্রতিনিধির তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।এর আগে রোহিঙ্গা ইস্যুতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথম বৈঠক হয়। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ সাতটি রাষ্ট্র এই বৈঠকের আবেদন করে। বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের বক্তব্য শুনেছেন নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা।জবাবে চীন ও রাশিয়া তা উড়িয়ে দিয়ে মিয়ানমারেরই পক্ষ নেয়। কার্যত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় ‘বহুল কাঙ্ক্ষিত’ আলোচনা। ওই বৈঠকের পর এটি ছিলো পরিষদের দ্বিতীয় বৈঠক।