সোমবার ( ১৪ নভেম্বর) বিকেলে রমনা থানার ওসি ( তদন্ত) মো. আলী হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও।
আলী হোসেন বলেন, ‘এই মামলায় ওবায়দুল খানকে প্রধান আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।’
‘ওবায়দুল নিজেই এই ঘটনার পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এর সঙ্গে অন্য কারো যোগসূত্র নেই। সোমবার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় চার্জশিটটি জমা দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ২৪ আগস্ট পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্কুলের সামনের ওভারব্রিজে রিশাকে ছুরিকাঘাত করে ওবায়দুল। পরে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৮ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিশা উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিশা।
এই ঘটনায় রিশার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।
পরে ৩১ আগস্ট সকালে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় বাজার থেকে ওবায়দুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওবায়দুলের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামে। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সে একটি দরজির দোকানের কাজ করতেন তিনি।