আন্তর্জাতিক

রাশিয়া সীমান্তের কাছে শক্তি বাড়াচ্ছে ন্যাটো

এবিএনএ : রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ গড়ে তুলছে ন্যাটো সামরিক জোট। আগামী বছর রোমানিয়ায় যুদ্ধবিমান পাঠাবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি পোল্যান্ডে সেনা, ট্যাঙ্ক ও কামান মোতায়েনেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি।

বুধবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদর দপ্তরে মিত্র দেশগুলোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের এক বৈঠকে জার্মানি, কানাডা ও ন্যাটোর অন্যান্য মিত্ররাও সেনা মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ন্যাটোর মহাসচিব ইয়ন্স স্টোলটেনবার্গ জানিয়েছেন, জোটের ধারণা রাশিয়ার প্রায় তিন লাখ ৩৩ হাজার সেনা মস্কোর কাছে রাশিয়ার পশ্চিমা প্রান্তে মোতায়েন করা হয়েছে, তার জবাবে বাল্টিক ও পূর্ব ইউরোপে নতুন চার হাজার সেনার শক্তিশালী একটি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেইনের বিদ্রোহীদের ধারাবাহিকভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। শুধু চলতি মাসেই রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ইসকান্দের ক্ষেপণাস্ত্র কালিনিনগ্রাদে মোতায়েন করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি মতো সমৃদ্ধ প্লুটোনিয়াম নিয়ে চুক্তি স্থগিত করেছে।

রাশিয়ার ইসকান্দের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডসহ বাল্টিক অঞ্চলের যে কোনো দেশে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে রাশিয়া ইসকান্দের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পাশাপাশি পারমাণবিক ওয়ারহেড কালিনিনগ্রাদে পাঠিয়েছে কিনা তা জানাতে রাজী হননি ন্যাটো কর্মকর্তারা।

আগামী বছরের মধ্যে চারটি ব্যাটল গ্রুপের এই চার হাজার সেনাকে পূর্ব ইউরোপে মোতায়েন করার পরিকল্পনা করেছে ন্যাটো। প্রয়োজন হলে তাদের সমর্থন দিবে ৪০ হাজার সেনার শক্তিশালী একটি র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স।

বুধবার ক্রুইজ ক্ষেপণাস্ত্র সমৃদ্ধ রাশিয়ার দুটি যুদ্ধজাহাজ সুইডেন ও ডেনমার্কের মধ্যবর্তী বাল্টিক সাগর প্রবেশ করে, এতে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

মাদ্রিদ থেকে স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্পেনের উত্তর আফ্রিকার ছিটমহল সেউতা থেকে তাদের তিনটি যুদ্ধজাহাজকে জ্বালানি দেয়ার একটি অনুরোধ রাশিয়া প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

রাশিয়ার এসব যুদ্ধজাহাজকে সিরিয়ার বেসামরিকদের ওপর হামলার কাজে ব্যবহার করা হতে পারে, এমন মন্তব্যের মাধ্যমে ন্যাটো জোট সতর্ক করার পর স্পেন এ কথা জানালো।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button