আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি রাশিয়া-ইরানের

এবিএনএ : নিরীহ নাগরিকদের হত্যা করায় সিরিয়াকে ‘শিক্ষা’ দিতে লাগাতার সামরিক অভিযান শুরু করেছে আমেরিকা। সিরিয়ার স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে নতজানু করতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন মার্কিন রণতরী থেকে দফায় দফায় ৫৯টি টোমাহক ত্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় সিরিয়ার শায়রত বিমানঘাঁটিতে।

তবে আমেরিকাকে পাল্টা হুমকি দিয়ে আসাদ বলেছেন, “টোমাহক ছুড়ে আমেরিকা একটা দায়িত্বজ্ঞানহীন মূর্খের মতো কাজ করেছে। সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে মার্কিন নৌ ও বিমানবাহিনীকে। আমেরিকা যেন মনে রাখে সিরিয়া ইরাক বা আফগানিস্তান নয়। ” হামলার পরই আসাদকে বাঁচাতে আসরে নামে রাশিয়া ও ইরান৷

ইরান মদতপুষ্ট হিজবুল্লা জঙ্গি গোষ্ঠী, লেবানন এবং রাশিয়া সরাসরি আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘অনিবার্য সংঘাত’-এ যাওয়ার চরম হুমকি দিয়েছে৷ ক্রেমলিনের হুঁশিয়ারি, “এখনই সংযত হোক আমেরিকা৷ না হলে যে কোনও খারাপ কিছু মুখোমুখি হওয়ার জন্য তৈরি থাকুক। ”

মার্কিন সামরিক সদর দফতর পেন্টাগনের দাবি, সিরিয়ার বিমানবাহিনী ফের যাতে গোপনে বিষ গ্যাস নিয়ে হামলা চালাতে না পারে সেজন্যই টার্গেট করে টোমাহক দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিমানঘাঁটি। পেন্টাগনের মুখপাত্র জেভ ডেভিস জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করে, রাষ্ট্রসংঘের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বর্বরতার সঙ্গে সিরিয়া বিষ গ্যাস নিয়ে হামলা চালিয়েছে।  সিরীয় বিমানবাহিনী সংযত না হলে এর থেকেও বড় ধরনের হামলা চালাবে আমেরিকা।

এদিকে হামলার আগে ফ্লোরিডায় তার ভাষণে ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে মন্তব্য করেন। আসাদই সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে জঘন্য রাসায়নিক হামলা চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন “বিশ্বের সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন রাষ্ট্রকে বলছি, আসুন আমরা একসঙ্গে সিরিয়ায় রক্তপাত রুখে দিই।  সবরকম জঙ্গিদের শেষ করে দিই।  যতক্ষণ আমেরিকা ন্যায্য বিচার চাইবে, শান্তি বজায় থাকবে। ”

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button