আমেরিকা

মার্কিন সামরিক ব্যয় বাড়াচ্ছেন ট্রাম্প

এবিএনএ : মার্কিন সেনাবাহিনীকে নতুন করে গড়ে তুলতে পরবর্তী বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ঐতিহাসিকভাবে বড় অংকের বৃদ্ধি দেখা যাবে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে এ ব্যয় অন্তত ১০ শতাংশ বৃদ্ধির সংকল্প প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সীমিত সামর্থ্য দিয়ে বেশি কিছু করার চেষ্টা করছি। সেই সঙ্গে সরকারকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে। আমরা যে অর্থ ব্যয় করি, তা দিয়ে আরও বেশি কিছু করা সম্ভব।’
সোমবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্যাঙ্ক, যুদ্ধজাহাজ এবং সমরাস্ত্র ব্যবস্থা উন্নয়নে ট্রাম্প প্রায় পাঁচ হাজার ৪০০ কোটি ডলার প্রয়োজন বলে জানাবেন কংগ্রেসকে। আর এই অতিরিক্ত সামরিক খরচ নাগরিক ও পরিবেশ সুরক্ষায় দেওয়া বরাদ্দ থেকে কেটে নেওয়া হবে।
এর আগে রয়টার্সকে দেওয়া বৃহস্পতিবারের সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ করার আভাস দেন ট্রাম্প। তিনি সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত একটি বিশ্ব তিনি দেখতে চান।
তবে এই দাবির সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেন, ‘তবে পারমাণবিক শক্তির প্রশ্নে আমরা কোনও দেশের থেকেই পিছিয়ে থাকতে রাজি নই, এমনকি তা কোনো বন্ধুপ্রতিম দেশ হলেও।’
গত বছরের ডিসেম্বরে দেওয়া এক টুইটার পোস্টেও ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘গোটা বিশ্বে পারমাণবিক প্রকল্পের প্রশ্নে উপলব্ধি সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভার শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত করা উচিত।‘
অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট-এর পরিচালক মিক মুলভানি জানিয়েছেন, পুরো বাজেটটি প্রস্তুত হতে চলতি বছরের মে পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। তবে সামরিক খাতে সামরিক ও পারমাণবিক কর্মসূচীকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
 এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী পররাষ্ট্র বিভাগের ত্রাণ সতায়তা এবং পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা ও অন্যান্য বেসামরিক কর্মসূচী থেকে বরাদ্দ কমানোর দাবি করা হয়।
অপর এক কর্মকর্তা জানান, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দফতরের খরচ প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশি সাহায্যের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button