মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইস্যু এবার মাদক


এবিএনএ : নানা ইস্যু নিয়ে জমে উঠেছে মার্কিন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারনা। সেইসব ইস্যুর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে মাদকও। মারিজুয়ানাকে বৈধ করার দাবি উঠছে বিভিন্ন মহলে। এই মাদক এখনও কাগজে কলমে নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ হলেও আমেরিকার অধিকাংশ স্টেটেই অবাধে চলে মারিজুয়ানার বিকিকিনি। ওষুধের দোকানেই মেলে মারিজুয়ানা। পুলিশ দেখেও দেখে না। পঞ্চাশটি স্টেট এবং ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়া নিয়ে তৈরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তার মধ্যে চব্বিশটি স্টেটই চায় মারিজুয়ানার বৈধতা। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিকদের ষাট শতাংশেরই মারিজুয়ানা নিয়ে আপত্তি নেই। মারিজুয়ানার বৈধকরণ নিয়ে বিশেষ প্রস্তাব এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল ভোটের সঙ্গেই ন’টি স্টেটে ওই নিয়ে ভোটাভুটি শুরু হয়েছে। সবচেয়ে জনবহুল স্টেট ক্যালিফোর্নিয়াতেও সম্ভবত এই নিষিদ্ধ মাদক বৈধতা পেতে চলেছে। কারণ মার্কিন জনগণ মনে করছেন মাদক নয়, ব্যথা নিরসনের ওষুধ হিসেবে মারিজুয়ানার বৈধতা প্রয়োজন। মারিজুয়ানা বৈধকরণ নিয়ে বাণিজ্যিক লবির চাপ রয়েছে। আবার রাজস্ব আদায়ের প্রলোভনও রয়েছে। কিন্তু, সমাজকর্মীরা বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন এর বিপদ। নেশার ঘোরে দুর্ঘটনা, অপরাধ আরও বাড়বে। আবার আইনি উদারতার পক্ষে যারা, তারা চাইছেন বাজার হোক মুক্ত। মানুষই বিচার করুন কী তারা চান। মারিজুয়ানা কী পরিমাণে সেবন করা যাবে তার লক্ষ্মণরেখা তো থাকছেই। কালোবাজারে যখন বহুল বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ মাদক, খোলাবাজারে আসতে দোষ কী? যুক্তি উদারপন্থীদের। মঙ্গলবারই সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও ন’টি স্টেটে বৈধ হতে চলেছে মারিজুয়ানা।
Share this content: