এবিএনএ: ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সম্প্রচার শুরু হয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত চ্যানেল দূরদর্শনের ডিরেক্ট টু হোম প্ল্যাটফর্ম ডিডি ফ্রি ডিশের মাধ্যমে দেশটিতে বিটিভির সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর রামপুরায় বিটিভির প্রধান কার্যালয়ে ভারতে বিটিভির সম্প্রচার কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ ভারতীয় সময় সকাল ৯টা এবং বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৯টায় ভারতে বিটিভির সম্প্রচার শুরু হয়। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে এর ঘোষণা দিচ্ছি। ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় প্রসার ভারতীর মাধ্যমে সেখানে বিটিভি সম্প্রচারের যৌথ ঘোষণা দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের জুলাইয়ের মধ্যেই সব প্রস্তুতি শেষ হয়। আগস্ট মাস শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। পৃথিবী যখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে, তখন টিভি চ্যানেলগুলো সীমানায় বাঁধা থাকতে পারে না।

দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে, উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। এতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে ভারতের বিটিভির এই সম্প্রচার। দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, এটা আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এমন একদিন আসবে যখন সমগ্র বিশ্বে বিটিভি সম্প্রচারিত হবে।

বিশেষ অতিথি ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, এমন পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সাংস্কৃতিক বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় হবে। দুই দেশের মধ্যেকার তথ্য বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আজকের এ পদক্ষেপ। মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধনের মূল ভিত্তি হবে এটি। ভারতের মানুষের ঘরে পৌঁছাবে বিটিভি, যা দুই দেশের মানুষদের আরো কাছে নিয়ে আসবে। এ যাত্রা সফল হোক, এই শুভকামনা জানাই। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিটিভির মহাপরিচালক এস এম হারুন অর রশীদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেক।