এবিএনএ : ‘আর কত দিন এমন সিনারি (দৃশ্য) দেখতে অইবো। প্রতিবছরই রাস্তা কাইট্যা বড় বড় পাইপ বহায়। শুনি সামনের বছর আর পানি জমবো না। কিন্তু কই, উন্নয়নের জোয়ারে বৃষ্টির পানিতে রাস্তাঘাট তলাইয়া গেছে।’ সোমবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানের দক্ষিণ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে এমন খেদোক্তি করছিলেন কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দা মধ্যবয়সী পোশাককর্মী জরিনা বেগম।
তিনি আরও বলেন, ‘করোনায় এমনিতেই জীবন চালানো দায়। কামরাঙ্গীরচর থাইক্যা প্রত্যেকদিন হাঁইট্যা গার্মেন্টসে যাই। মাসের শেষ হাতে টাকা নাই। দশ টাকা দিয়া ভ্যানগাড়িতে পার হওয়ার ক্ষেমতা নাই। অহন ভিজা শাড়ি লইয়া পানি ভাইঙ্গা গার্মেন্টসে গিয়া কেমনে রাত পর্যন্ত ডিউটি করুম।’ এ সময় এ পথে আশপাশের ছোটবড় মার্কেট, শপিংমল, গার্মেন্টস, হাসপাতাল এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গন্তব্যে ছুটে যেতে দেখা যায়। কবরস্থানের সামনে থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত থৈ থৈ পানি।
ভ্যানচালকদের ‘দশ টাকা দশ টাকা, পানি পথ পারাপার’ বলে চিৎকার করে লোকজন ডাকতে দেখা যায়। যাদের সামর্থ্য আছে তারা ভ্যান কিংবা রিকশায় পানি পার হচ্ছিলেন। প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ইঞ্জিনচালিত যানবাহনের কোনোটি পানি ঠেলে যেতে পারলেও কোনোটির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে যেতে দেখা যায়। আবার কোনো কোনো যানবাহন মাঝপথে এসে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ফেরত যেতে দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন স্বল্পআয়ের নারী-পুরুষ ও শিশুরা। তাদের অনেককে কোমর পানিতে জামাকাপড় ভিজিয়ে গন্তব্যে ছুটতে দেখা যায়।
এ দৃশ্য শুধু নীলক্ষেত বা নিউ মার্কেটেই নয়, বৃষ্টির পানিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পুরান ঢাকার অলিগলি তলিয়ে গেছে। অনেক এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকে যায়। পুরান ঢাকার যেসব এলাকার রাস্তাঘাটে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে সেসব এলাকার বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে লালবাগের বাসিন্দা বৃদ্ধ আবদুল হামিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিবছর সিটি করপোরেশন ও ওয়াসাসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের নামে রাস্তাঘাট খোঁড়াখুঁড়ি করে। প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা বক্তব্য দিয়ে আগামী বছর থেকে জলাবদ্ধতা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি আর পূরণ হয় না। কথা ও কাজে মিল না থাকায় কার্যত মনে হয়, উন্নয়নের নামে পকেটভারী করাটাই যেন মূল লক্ষ্য। এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.