এবিএনএ : আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহবান অগ্রাহ্য করে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সময় এসেছে। অনেক আগেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১:০০ টায়(বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা) বিতর্কিত ও সমালোচিত এ ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে তিনি তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের কাজ শুরু করতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
এদিকে, ট্রাম্পের এ ঘোষণার আগ থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে ফিলিস্তিন। প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছে হাজারো ফিলিস্তিনি। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ অঞ্চলটিতে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি করবে বলে আগে থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এতে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্থ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। হোয়াইট হাউজের ডিপ্লোমেটিক রিসেপশন রুম থেকে দেয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সময় এসেছে । তিনি বলেন, দুই দশকের বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেও আমরা ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কোন স্থায়ী শান্তি চুক্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। উল্লেখ্য, ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আজ আমি (আমার প্রতিশ্রুতি) পূরণ করছি।
কয়েক দশকের মার্কিন নীতি পাল্টে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন ট্রাম্প। বক্তব্য দেয়ার সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ এবং ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা মাথায় রেখেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প দা্বি করেন, এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। আর এটা বাস্তবতার স্বীকৃতি দেয়া বৈ কিছুই না। সকল পক্ষকে তিনি জেরুজালেমের পবিত্র ভূমিতে স্ট্যাটাস কো বজায় রাখার আহ্বান জানান।
ট্রাম্পের বক্তব্য শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তার ঘোষণার প্রশংসা করে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত শান্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ, জেরুজালেম যদি ইসরাইলের রাজধানী না হয় তাহলে কোন শান্তি আসবে না। তিনি আরো বলেন, যেসব রাষ্ট্র শান্তি চায় আমি সেসব দেশকে আহবান জানাই যে তারা জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দিক। পাশাপাশি তাদের দূতাবাস এখানে স্থানান্তর করুক।
এদিকে, ফিলিস্তিনি এক কূটনীতিক বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল। হামাস বলেছে, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে নরকের দরজা খুলে দেবে। দলটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘এতে করে এ বাস্তবতা পাল্টাবেনা যে জেরুজালেম আরব মুসলিমদের ভূখণ্ড। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে আগে থেকেই সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন অনেক বিশ্বনেতা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তার সঙ্গে এক ফোনালাপে ওই অঞ্চলের আরব নেতারা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ নিয়ে গভীর আশঙ্কা প্রকাশ করেন ও তাকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহবান জানিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেছিলেন, তার এই পদক্ষেপে অঞ্চলটিতে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খোমেনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের কারণ হলো তাদের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতা। আর সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, এই পদক্ষেপ হলো ফিলিস্তিনকে জবরদখল করা এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে উৎখাত করার অপরাধের চুড়ান্ত অধ্যায়। পোপ ফ্রান্সিসও সতর্ক করে বলেন, জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে বিদ্যমান স্ট্যাটাস কো’র প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। কিন্তু, ট্রাম্প সেসব গায়ে মাখেন নি।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.