এবিএনএ: সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ২০১৯ সালে মমতা যে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে পারেন, তার ইঙ্গিতও তিনি। নবান্নে ওমর আবদুল্লা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা দেশের রাজধানীতে নিয়ে যাব। কলকাতায় যা কাজ করেছেন, এবার তা সারা দেশে করবেন তিনি।’ জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে ওমর আবদুল্লার কাছে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের মধ্যে যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাও উঠে এসেছে আলোচনায়।’ ন্যাশনাল কনফারেন্স ও তৃণমূলের অবস্থানের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলেও জানান ওমর আবদুল্লা। ২০১৯ সালে বিজেপিকে রুখতে মহাজোটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে ওমর আবদুল্লা বলেন, ‘তাদের জোটকে কি নামে ডাকা হবে তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিজেপি বিরোধী সব দলই যোগদান করতে পারে। আমরা বিজেপিকে হারানোর চেষ্টা করব।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কয়েকটি ছাড়া সব আঞ্চলিক দলই বিজেপি বিরোধী জোটে সামিল হচ্ছে। বিজেপি সরকারের ব্যবহার নিন্দাজনক। কেন্দ্রের সরকারকে স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে মমতার অভিযোগ, তৃণমূলকে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি।’ মমতার আশ্বাস, ২০১৭ সালে বিরোধীদের সরকার হবে মানুষের জন্যে। ওমর আবদুল্লাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তৃণমূল এই নেত্রী বলেন, ‘ওমর আবদুল্লা নবীন নেতা। এখানে আসার জন্য ওনাকে ধন্যবাদ।’ দিন কয়েক আগে রাহুল গান্ধীই জানিয়েছিলেন, বিজেপি-আরএসএসকে রুখতে প্রধানমন্ত্রী কুর্সি ছাড়তে নারাজ তিনি। মায়াবতী-মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করতেও রাজি। কংগ্রেস সভাপতির এমন মন্তব্যের পরই মমতার নাম জোরালভাবে ভেসে উঠেছে। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘ব্রিগেডে বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা হাজির থাকবেন।’
কলকাতার একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সনিয়া গান্ধীকে সমাবেশ আমন্ত্রণ জানাবেন মমতা। সেই লক্ষ্যেই ৩১ জুলাই দিল্লিতে তিন দিনের সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে আঞ্চলিক ও বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে আরও একবার 'ফেডারেল ফ্রন্টে'র সমর্থন ঝালিয়ে নেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেই মমতা দাবি করেছিলেন, এবার ১৫০ আসনও পেরোতে পারবে না বিজেপি। বিরোধীরাই সরকার গড়বে। বিরোধী শিবির সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে মোদীর বিরুদ্ধে নারী মুখকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মায়াবতী। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এগিয়ে থাকবেন তৃণমূল এই নেত্রীই।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.