এবিএনএ : বাংলাদেশে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ও ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোটাধিকার প্রত্যাশা করে যুক্তরাজ্য। এছাড়া দেশটি বাংলাদেশে স্বচ্ছ গণতন্ত্র প্রত্যাশা করে। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এ কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।
যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে আগামীতে একটি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় জানিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে স্বচ্ছ গণতন্ত্র প্রত্যাশা করে যুক্তরাজ্য। আগামী নির্বাচনকে আমরা স্বচ্ছ দেখতে চাই। এ ক্ষেত্রে আমরা চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দেবো। সেগুলো হলো- সব দলের অংশগ্রহণ, সবাই যেন ভয়-ভীতি ছাড়া ভোট দিতে পারে, ভোট যেন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয় এবং সব দল যেন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়।
বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে স্বচ্ছ গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে জানিয়ে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা একটা স্থিতিশীল পরিবেশ চায়। এছাড়া আগামীতে উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছালে বাংলাদেশের জন্য সুশাসন জরুরি হয়ে পড়বে। সুশাসন থাকলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নির্ভয়ে বিনিয়োগ করতে পারবে। অন্য দিকে নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয় তাহলে এ বিষয়টিতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। তখন যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলো এদেশে বিনিয়োগ করতে চিন্তা করবে।
বাংলাদেশে গুম-খুন নিয়ে যুক্তরাজ্য চিন্তিত কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমরা প্রতিনিয়ত কথা বলছি। রোহিঙ্গা সমস্যা প্রসঙ্গ তুলে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা ভালো হলে তারা রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেবে। বাংলাদেশ এখনো তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করছে। তাদের খাবার, বাসস্থান, চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে এমনকী কোভিডকালীনও তাদের নিরাপদ রাখতে ভূমিকা নিয়েছে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন এই হাইকমিশনার। ব্রিটিশ হাইকমিশনার মনে করেন, আগামীতে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তবে ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্তভাবে বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও এই সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.