জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

‘বঙ্গবন্ধুর আত্মত‌্যাগের লক্ষ‌্য ছিল ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলা গড়া’

এবিএনএ : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই আমাদের স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। তার আত্মত‌্যাগের মূল লক্ষ‌্য ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত শোষণহীন সোনার বাংলা গড়া।’
বুধবার বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৭’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব‌্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। সভাপতিত্ব করেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসনে আরা শেফালী।
স্পিকার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এক অঙ্গুলি হেলনে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার আপামর জনতা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল। তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আগস্ট মাস শোকের মাস। ১৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছিল। জাতির পিতা ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বঙ্গবন্ধু। হত্যাকাণ্ড থেকে রেহাই পায়নি নারী ও শিশু। এ কারণে বাঙালি জাতির জীবনে এটি একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন এ জাতি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য অপেক্ষা করেছে। ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে এই বিচারে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু সত্যের জয় অনিবার্য। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বাংলার মাটিতে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দেশপ্রেম ও অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন আত্মস্থ করতে হবে।’
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শৈশব হতেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন অকুতোভয়। এ কারণে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর চুলচেরা বিশ্লেষণ প্রয়োজন। আইয়ুব, ইয়াহিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শোষণহীন ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন অবিচল ও আপোশহীন। ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করেও তাকে অবদমিত করা যায়নি। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে অন্যায়ের কাছে তিনি কখনো মাথা নত করেননি। এর মাঝে ফুটে ওঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতিবাদী সত্ত্বা।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান জনগোষ্ঠির প্রায় ৬৫ ভাগই তরুণ। তারুণ্যের এ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
মেধা ও দক্ষতা দিয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে শিক্ষার্থীদের তাগিদ দেন স্পিকার। তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার পাশাপাশি নিজেদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের রয়েছে ভাষা আন্দোলন, গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতা।
স্পিকার বলেন, ‘দ্রুতই বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হতে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ স্থান করে নেবে উন্নত দেশের কাতারে। প্রতিষ্ঠিত হবে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত শোষণহীন সোনার বাংলা। যা ছিল বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের আত্মত্যাগের মূল লক্ষ্য।’

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button