এবিএনএ : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নারী নির্যাতনের ঘটনাকে রাজনীতিকরণের অপচেষ্টা করছে আর সরকার অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর। আজ বুধবার (০৭ অক্টোবর) বিকেলে মন্ত্রী সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার তেৃবৃন্দের সাথে সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় সম্প্রতি নোয়াখালীতে নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি একথা বলেন। ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা, সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, রাশেদ আহমেদ, মানস ঘোষ, মামুনুর রহমান খান, দীপ আজাদ ও হারুন তালুকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে রাজনীতির অপচেষ্টা ঠিক নয়। ধর্ষকরা কোনো দলের নয়। নোয়াখালীতে যারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত ছিল তারা কোনো দলের না, সবাই দুষ্কৃতিকারী। দুষ্কৃতিকারীরা কোনো দলীয় পরিচয় ব্যবহার করার অপচেষ্টা চালালেও সরকার তাদেরকে দুষ্কৃতিকারী হিসেবেই দেখছে। প্রত্যেকটি ঘটনার বিচার হচ্ছে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
‘বিএনপি আট বছরের শিশু, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এমনকি নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ করে মহিলা ও শিশুদের ধর্ষণ করেছে। ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি দলীয় এই অপকর্মগুলোর বিরুদ্ধে সরকার বা দলের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, এটিই বাস্তবতা। সেই দলের মহাসচিব হিসেবে তিনি যখন এ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তার আগে তার চেহারাটা আয়নায় দেখা প্রয়োজন।’
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য-‘দেশের অর্থনীতিও ভেঙে পড়ছে’ এর জবাবে মন্ত্রী তাকে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তিনি ঢাকা কলেজের অধ্যাপক ছিলেন, তাই তাকে এগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
ড. হাছান মাহমুদ অর্থনীতির চলতি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, করোনার শুরুতে অনেকে আশংকা করেছিল আমাদের অর্থনীতি খাদের কিনারে চলে যাবে, একটা বিরাট বিপর্যয় হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে সেটি হয়নি। বিশেষজ্ঞদের সমস্ত শঙ্কা, আশঙ্কা ভুল প্রমাণ করে এ বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের রপ্তানি আয় হয়েছে ৯.৯ বিলিয়ন ডলার যা গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ২.৫৮% বেশি, অনেক বিশেষজ্ঞদের কথায় ছাই দিয়ে এ বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স এসেছে ৬.৭১ বিলিয়ন ডলার যা গতবছরের তুলনায় ৪৮.৫% বেশি। অনেকে বলেছিলেন বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কর্মী ফেরত আসবে, অথচ এখন বৈধ কাগজপত্রসহ বিদেশে যাওয়ার জন্য বরং বিক্ষোভ হচ্ছে, ফেরত যাওয়ার প্লেনের টিকিটের হাহাকার পড়ে গেছে। এছাড়া এই করোনাকালেও জুলাই থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে রাজস্ব আয় গত বছরের তুলনায় ০.১৬% বেড়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ (বৈদেশিক মুদ্রা স্থিতি) ছিল ৩৯.৩১ বিলিয়ন ডলার যা গতবছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের রিজার্ভ ৩১.৮ বিলিয়ন ডলার থেকে প্রায় ৮ বিলিয়ন বেশি। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী বাংলাদেশে এ বছর ২০২০ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫.২% এর বেশি, যা চীনে ১.৮% ও এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে ঋণাত্মক। করোনাকালেও আমাদের এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্ভবপর হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব, সময়োচিত পদক্ষেপ ও অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেয়ার কারণেই।
করোনা মহামারির বৈশ্বিক দুর্যোগের সময় সাংবাদিদের সাহসিকতার সাথে কাজের প্রশংসা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কাজ করতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, অনেকে দুঃখজনকভাবে মৃত্যুবরণও করেছেন, তাদের আত্মার শান্তিকামনা করি। দেশে সাধারণ ছুটির সময়ও সাংবাদিকদের ছুটি ছিল না, আমারও ছিল না যেহেতু আমি আপনাদের সাথে কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিষয়টি বিবেচনা করে বিশেষ প্রণোদনারও ব্যবস্থা করেছেন। মহামারির সময় সীমিত সামর্থ থাকলেও দু:খ ভাগাভাগির মনোবৃত্তি থাকলে গণমাধ্যমে চাকরিচ্যুতি হবে না।
প্রণীতব্য গণমাধ্যমকর্মী আইন সম্পর্কে সর্বশেষ খবর জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আইন মন্ত্রণালয় এটি ভেটিং করে ফেলেছে। সুতরাং এই আইন প্রণয়ন দ্রুত হবে বলে আশা করা যায়।’ টেলিভিশন চ্যানেলগুলো পে-চ্যানেল হবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যে কেউ পে-চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে, সেটাতে কোনো বাধা নেই। কেউ পে-চ্যানেল হবে কি না, সেটি সেই টেলিভিশনকেই নির্ধারণ করতে হবে, সরকার নির্ধারণ করে দেবে না। ভোক্তারা কোনো টিভিকে পে-চ্যানেল হিসেবে গ্রহণ করবে কি করবে না সেটি ভোক্তাদের বিষয় এবং টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের বিষয়। এখানে যে প্রসঙ্গটি যুক্ত সেটি হচ্ছে, কোন টেলিভিশন কতটা দেখা হচ্ছে, কেবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটালাইজড না হলে এটি নির্ধারণ করা কঠিন। আমরা ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। করোনা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার শুরুতে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়েছে, এখনো তা মেনে চলা প্রয়োজন এবং যখনই পৃথিবীতে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে তখনই সরকার সেটি এনে জনগণকে দেয়ার জন্য ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.