পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নরসিংদী থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিল। ঢাকা সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী সদর উপজেলার কান্দাইলে যাত্রীবাহী বাসটি পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকা থেকে সিলেটগামী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে চালকসহ চারজন নিহত হন। আহত চারজনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুজনের মৃত্যু হয়।নিহতরা হলেন- সিলেটের বিয়ানীবাজারের বাবুল হোসেন (৩২), রেজাউল করিম (৩৫), জোবায়ের (৩৫), আবুল খায়ের বাশার খাঁন (৩৫), ইকবাল আহমেদ (৩২) ও চালক বাবুল (৩৫)। আহতরা হলেন- একই এলাকার হাফিজ উদ্দিন (৩৫) ও দেলোয়ার হোসেন (৩২)।দুর্ঘটনায় মহাসড়কের উভয় পাশে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোক ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। পরে দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।মাধবদী থানার এসআই উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, মাইক্রোবাসের চাকা বিস্ফোরণ হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের সকলের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার বলে জানিয়েছে পুলিশ।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাধবদী থানার ওসি ইলিয়াস আহমেদ জানান, নরসিংদী থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কান্দাইল নামক এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়। আহত হয় পাঁচজন। আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়।এদিকে, বেলা ১০টার দিকে একই মহাসড়কের জেলার শিবপুর উপজেলার কারারচর বিসিক শিল্পনগরী এলাকার মদিনা জুট মিলের সামনে ঢাকা থেকে সিলেটগামী দিগন্ত পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে নরসিংদী থেকে ইটাখোলাগামী লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কারারচর গ্রামের সুজন মিয়া (২৪) নামে একজন নিহত হন। আহত অবস্থায় ছয়জনকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কারারচর গ্রামের আরমান মিয়া (৫০) ও সৈয়দনগর গ্রামের মাসুম মিল্লাহর মৃত্যু হয়েছে।ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি আটক করা হয়েছে।