খেলাধুলা

দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বড় হার

এবিএনএ: ২৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পঞ্চম দিনের শুরুতেই পরিণত হয়েছে ধ্বংস্তূপে। ১১ রান ও হাতে ৩ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় প্রথম ঘন্টাতেই। ৪২ রান যোগ করে দলীয় ৫৩ রানেই অলআউট টাইগাররা। ডারবানে দুই দলের মধ্যকার প্রথম টেস্টে প্রোটিয়ারা ২২০ রানে জিতেছে। ফলে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। ২০১৩ সালের পর ডারবানে টেস্ট জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

আন্তর্জাতিক টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে আজকের ৫৩ রানই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসের বাংলাদেশের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিল ৮৬ রান। কলম্বোতে ২০০৫ সালে এই রেকর্ডটি গড়েছিল বাংলাদেশ দল। আর দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সর্বনিম্ন রান হলো মাত্র ৪৩। ২০০৭ সালে নর্থ সাউদ গ্রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই লজ্জার রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিল টাইগাররা।

চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলায় অনেক কিছুই নির্ভর করছিল মিডল অর্ডারের ওপর। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদও এমন প্রত্যাশার কথা বলেছিলেন। কিন্তু দিনের খেলা শুরু হতেই কেশব মহারাজের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে মিডল অর্ডার।

দিনের পঞ্চম বলে অভিজ্ঞ মুশফিককে হারায় বাংলাদেশ। কেশব মহারাজের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে এলবির শিকার হয়েছেন শূন্য রানে। এক ওভার বিরতি দিয়ে মহারাজের স্পিন ঘূর্ণিতে এবার ফিরলেন লিটন দাস (২)। শান্তকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে এসে ইয়াসির আগ্রাসী শুরু করেন। তবে মহারাজের বলে শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ৫ রানে বোল্ড হন ইয়াসির। এতে ৫ উইকেটের দেখা পেয়েছেন প্রোটিয়া বামহাতি স্পিনার।

এরপর বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত করেন শিমন হারমার। মেহেদি হাসান মিরাজকে শূন্য রানে ফেরানোর পর ২৬ রান করা নাজমুল হোসেন শান্তকেও আউট করেন তিনি। এরপর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন মহারাজ। তিনি বাংলাদেশের শেষ দুটি উইকেটও দখল করেন। খালেদ আহমেদকে শূন্য ও তাসকিন আহমেদকে ১৪ রানে প্যাভিলিয়নে পাঠান।১০ ওভার বল করে মাত্র ৩২ রানে ৭ উইকেট দখল করেন মহারাজ। ৩ উইকেট পান হারমার। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ৩৬৭ করলে জবাবে বাংলাদেশ ২৯৮ রান করে। পরে প্রোটিয়ারা দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৪ রানে অলআউট হয়।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button