জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

ডা. লিপির গায়ে কোপের চিহ্ন, পরিকল্পিত হত্যার দাবি

এবিএনএ : রাজধানীর কলাবাগানের ৫০/১ ফার্স্ট লেনের একটি বাড়ির তিন তলা থেকে উদ্ধার হওয়া গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের মামা হারুন অর রশীদ মৃধা। তিনি বলেন, ‘লিপির রুমে আগুনের চিত্র থাকলেও এটি সাজানো ঘটনা। যাতে মানুষ মনে করে যে, আগুনে মারা গেছে। কিন্তু এটা সত্য নয়। লিপির ঘাড়ে ও পেছনে কোপের চিহ্ন রয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যা।’

সোমবার দুপুরে কলাবাগানের ৫০/১ ফার্স্ট লেন ভবনের নিজ ঘর থেকে ডা. লিপির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিকালে ওই বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তার মামা। হারুন অর রশীদ মৃধা বলেন, ‘আজ সকালে ফোনে জানতে পারি আমার ভাগনি কাজী সাবিরা রহমান লিপি মারা গেছে। এরপর এই বাসায় এসে দেখি লিপির রুমে ছাই পড়ে আছে। এটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে যাতে করে মানুষ বোঝে সে আগুনে মারা গেছে। কিন্তু এটা সত্য নয়।’

চিকিৎসকের মামা জানান, নিহত লিপির তিন ভাই ও দুই বোনসহ তারা মোট পাঁচ ভাই বোন। তার দুই ভাই অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। নিহত লিপি চট্টগ্রাম থেকে ডাক্তারি পাস করার পর ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছেন। সর্বশেষ গ্রিন লাইফ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আসল সত্য উদঘাটিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।ডাক্তার লিপি ওই বাসার তিন তলায় ভাড়া থাকতেন। তবে লিপি তার ফ্ল্যাটে অন্যদের সাবলেট দিয়েছেন এমন তথ্য জানা নেই ভবন মালিকের। তিনি জানান, তার কাছ থেকে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন লিপি। তবে অন্যদের কাছে সাবলেট ভাড়া দেয়ার বিষয়টিবতার জানা নেই। এদিকে ওই ভবনের কেয়ারটেকার এবং লিপির বাসার সাবলেটসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

জানা গেছে, নিহত ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপি বিবাহিত। তবে তিনি ওই ফ্ল্যাটের একটি রুমে একাই থাকতেন। তার স্বামী শামসুর আজাদ একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন, থাকেন শান্তিনগরে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button