তথ্য প্রযুক্তি

স্মার্টফোন সারাবে কানের সংক্রমণ!

এবিএনএ : স্মার্টফোন আধুনিক জীবনের অনুষঙ্গ। নানান কাজে ব্যবহারের জন্য এই ফোনের জুড়ি মেলা ভার। বিমানের টিকিট, ট্রেনের টিকিট, গ্যাসের বিল, মোবাইল ব্যাংকিং থেকে শুরু করে খবরের কাগজ সবকিছুই এক নিমেষে হাতের মুঠোয় পৌঁছে দিচ্ছে স্মার্টফোন। সম্প্রতি এক গবেষণার ফলাফলে বলা হচ্ছে, এখন থেকে কানের সংক্রমণও সারিয়ে তুলবে মোবাইল ফোন।

সুইডেনের উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ইউনিভার্সিটি অব প্রিটোরিয়ার একদল গবেষক এমনটাই দাবি করেছেন। গবেষণাপত্রটি ইবিওমেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, গবেষকেরা অটোস্কোপ নামে একটি ইমেজ প্রসেসিং প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সংক্রমিত কানের পর্দার ছবি তোলা হয়। সে ছবি স্মার্টফোনের মাধ্যমে আপলোড করা হবে ক্লাউডে। সে ছবি দেখে চিকিৎসকেরা রোগীর কানের অবস্থা পর্যালোচনা করবেন। এই প্রচেষ্টা গরিব দেশগুলোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী হবে বলে গবেষক দলে আশা।
গবেষকদের বরাত দিয়ে পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, কানের সংক্রমণ (ওটিটিস মিডিয়া) সারাবে স্মার্টফোন। প্রতি বছর সারা বিশ্বে প্রায় ১০০ কোটির মতো শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়। সুইডেনের উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্লড লরেন্ট বলেছেন, ‘বিশ্বে অনেক উন্নয়নশীল দেশে উপযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের অভাবে কানের সংক্রমণ প্রায়ই ভালোভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারে না বা এসব ধরাও পড়ে না। আর রোগ নির্ণয় না হলে কানের ক্ষতি হতে পারে, এমনকি জীবনের ক্ষেত্রে আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।

লরেন্ট আর বলেন, ‘ (ওটিটিস মিডিয়া) পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যকর্মীরা কান সংক্রমণের মাত্রা নির্ণয় করতে পারেন।’ তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে ইমেজ আপলোড করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটা বিশ্লেষণ করা যাবে। এটা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সঠিক এবং কম খরচে দ্রুত নির্ণয়ের সুবিধা প্রদান করবে।’

এই পদ্ধতিতে একটি কর্ণ বীক্ষণ যন্ত্র, সাধারণত যা কানের পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয় তা দিয়ে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। একটি ডিজিটাল স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযুক্ত কর্ণ বীক্ষণ যন্ত্র নিয়ে চিত্র, একটি আর্কাইভের ইমেজের তুলনা করা হয়।
এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, শতকরা ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ পরীক্ষায় সঠিক হয়েছে এবং ভিডিও-কর্ণ বীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে সাইট ইমেজ পরীক্ষায় ৭৮ শতাংশ ৭ শতাংশ সঠিক হয়েছে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button