

এবিএনএ : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি মাসে সম্পন্ন হওয়া এসএসসি পরীক্ষার সৃজনশীল (সিকিউ) কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। আর নৈর্ব্যত্তিক (এমসিকিউ) প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে ১৭টি বিষয়ের মধ্যে ১২টি বিষয়ের শুধু ‘খ’ সেটের। আর তা হয়েছে পরীক্ষার ২০ মিনিট সময় আগে। এতে ২০ লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ অর্থাৎ পাঁচ হাজার পরীক্ষার্থী সুবিধাভোগী।’
তিনি বলেন, এরমধ্যে অনেকেই আটক ও বহিষ্কার হয়েছে এবং ব্যবস্থার আওতায় রয়েছে। তাই কোনো পরীক্ষা বাতিল করার প্রয়োজন নেই। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ যাচাই-বাছাই কমিটির প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষায় ১৭টি বিষয়ের মধ্যে ১২টি বিষয়ে শুধু নৈর্ব্যত্তিক (এমসিকিউ) অংশের ৩০ নম্বরের চারটি সেটের একটি (‘খ’ সেট) ফাঁস হয়েছে। কোনো সৃজনশীল (সিকিউ) অংশের ৭০ নম্বরের প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ক্লোজগ্রুপে নগণ্য সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ফাঁস করা প্রশ্ন পেয়েছে।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘বেশি সংখ্যক পরীক্ষার্থী ফাঁস করা প্রশ্ন পায়নি। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন পেয়েছে ২০ মিনিট বা তার কাছাকাছি সময়। এ ধরনের ক্লোজগ্রুপের সংখ্যাও অতি নগণ্য। একেকটি গ্রুপে ১০ থেকে ১০০ জনের মতো সদস্য রয়েছে। এরকম ৪০ থেকে ৫০টি গ্রুপ প্রশ্ন শেয়ার করেছে। এর মাধ্যমে চার থেকে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষার কিছু সময় আগে প্রশ্ন পেয়ে থাকতে পারে।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীর কক্ষে প্রবেশ বাধ্যতামূলক করায় এত কম সময়ের মধ্যে ৩০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন খুঁজে বের করা সহজ নয়। এতে সামগ্রিক ফলে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা বেশিরভাগ প্রশ্নই ছিলা ভুয়া বা সময় টেম্পারিং করা।’
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আরও বলেন, ‘২০ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে মাত্র পাঁচ হাজার সুবিধাভোগী রয়েছে। তারা সুবিধা নিতেও পারেনি। তাই নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’