এবিএনএ : গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও ৩১ ডিসেম্বর থার্টিফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। তবে ঘরোয়া আয়োজন করা যাবে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তার প্রয়োজন হলে পুলিশ তার ব্যবস্থা করবে। এই রাতে মাদক ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না।
বুধবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক বৈঠক শেষে এসব সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা ও বিদেশি খ্রিস্টান মেহমান যেসব এলাকায় থাকবেন এমন সব এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকা শহরে পাঁচ হাজারের বেশি নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত থাকবে। এর বাইরেও সাদা পোশাকে পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত থাকবে।
মন্ত্রী জানান, বড় চার্চগুলোতে মেটাল ডিটেকটরসহ সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতার জন্য চার্চের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটে ইভটিজিং এবং নেশাগ্রস্তদের নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সারাদেশে খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকায় শান্তিরক্ষা সমন্বয় কমিটি থাকবে। যারা পুলিশের ফোকাল পয়েন্টের সাথে সবসময় যুক্ত থাকবে। তিনি বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটে আমাদের দেশে আগে যুবকরা রাতটি উদযাপন করার জন্য বাধাহীনভাবে চলাফেরা করতো। আপনারা দেখেছেন গত দুই তিন বছর ধরে এমন উচ্ছৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করতে দেয়া হয় না। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটবে না।
মন্ত্রী জানান, রাস্তাঘাটে ইভটিজিংসহ নানা বিশৃঙ্খলা বন্ধ হয়েছে। থার্টিফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো সমাবেশ করা যাবে না। তবে ইনডোর প্রোগ্রাম করা যাবে। কেউ ইনডোর প্রোগ্রাম করতে নিরাপত্তার প্রয়োজন মনে করলে তাদের নিরাপত্তা দেয়া হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার পর থেকে কোনো বহিরাগত এই এলাকায় ঢুকতে পারবে না। তাদের ঠেকাতে আমরা সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবো। যারা ৮টার পর ওই এলাকায় যেতে চায় তাদের আমাদের সার্চ টিম সার্চ করে প্রয়োজন মনে করলে অনুমতি দেবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ৩১ ডিসেম্বর বিকাল থেকে ঢাকা শহরের সব এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এদিন সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কোনো লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র কেউ বহন বা প্রদর্শন করতে পারবে না। ফায়ার সার্ভিস তাদের রিক্রুইমেন্ট নিয়ে থার্টিফার্স্ট নাইটে প্রস্তুত থাকবে। যেকোনো সমস্যা মোকাবেলায় তারা কাজ করবে বলে জানান মন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। এখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই একত্রে বাস করি। আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে স্বপ্ন ছিল এটি। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রী বলেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছ থেকে তাদের অনুষ্ঠান আয়োজনে কী ধরনের আশঙ্কা তা জানার চেষ্টা করেছি। সারাদেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের চার্চগুলোতে কীভাবে নিরাপদে অনুষ্ঠানগুলো হয় এর জন্য আলোচনা করেছি। ঢাকা মহানগরীতে ৭৫টি চার্চ আছে। এর মধ্যে বড় চারটি চার্চ আছে তেজগাঁও, মিরপুর, বনানী এবং বাড্ডায়। এ চার্চগুলোতে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। এ চার্চগুলোতে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় যে ৯৯৯ কল সেন্টার ওপেন করেছেন তা এখন পুলিশ কন্ট্রোল করছে। এর মাধ্যমেও যেকোনো নাগরিক বিপদে পড়লে যেকোনো সহযোগিতা নিতে পারবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আমরা থার্টিফার্স্ট নাইটে কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করি না। তবে যেকোনো সমস্যা তৈরি হলে তা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবো।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.