এবিএনএ : করোনাকালে ক্রিকেটের পরিস্থিতি বদলে গেছে। বায়ো-বাবলের ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। একদেশ থেকে অন্য দেশে টানা সিরিজ খেলতে খেলতে হাঁপিয়ে উঠছেন অনেকেই। বিশ্রামের সুযোগই মিলছে না খুব একটা। এমন পরিস্থিতি ভিন্ন পথে হাঁটছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মত দলগুলো। জাতীয় দলকে দুই ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন দেশে সিরিজ খেলছে তারা। এতে খেলোয়াড়দের বিশ্রামেরও সুযোগ মিলেছে ভালোই। একই ভাবনা ছিল বাংলাদেশেরও। বিশ্বকাপের পরপরই দুটি দল গঠনের তাগিদ দিলেও এখন আর তা হচ্ছে না, বাড়তে পারে সময়ের দীর্ঘায়ু।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বেশ কয়েকবার দুটি দল গঠনের তাগিদ দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের পর দুটি দল হয়ে খেলবে বাংলাদেশ। একটি দল ঘরের মাঠে পাকিস্তান সিরিজে খেলবে, অন্যদল তখন নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে। কিন্তু বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান জানিয়েছেন, আপাতত সেই ভাবনা থেকে সরে এসেছে বোর্ড।
আজ রোববার রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ‘বিশ্বকাপের পরপরই পাকিস্তান আসবে, দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে। এরপরই কিন্তু দল নিউজিল্যান্ডে চলে যাবে। আগে মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হচ্ছিল কিন্তু এখন আর হচ্ছে না। দুইটা দল করার কথা উঠেছিল পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ সাংঘর্ষিক হওয়ায়। সেই জিনিসটা এখন আর হচ্ছে না তাই দুটি দলের চিন্তাধারাও করতে হচ্ছে না।’ তরুণ খেলোয়াড় উঠে আসায় দুটি দলের চিন্তা করে বোর্ড এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চিন্তাধারা রেখেছি। অনেক খেলোয়াড় উঠে আসছে, ভালোও করছে। এই সুযোগ থাকলে ভালো। তবে এই পরিস্থিতিতে দুটি দল হচ্ছে না।’
বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ সফরের আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে আকরাম খান আরও বলেন, ‘৩ তারিখ বাংলাদেশ দল যাবে। ৪ তারিখ ওমানে পৌঁছাবে। একদিন কোয়ারেন্টিনের পর অনুশীলন শুরু করবে। ৮ অক্টোবর ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব। ৯ তারিখ বাংলাদেশ দল আবুধাবিতে চলে যাবে। ওখানে ১২ ও ১৪ তারিখ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। এরপর ওমানে এসে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচগুলো খেলবে।’