লাইফ স্টাইল

আটটার আগে আট কাজ

এ বি এন এ : কীভাবে আপনি দিন শুরু করেন? এই প্রশ্নের উত্তর একেক জন একেক ভাবে দেবেন। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সফল মানুষের কাছে প্রতিটি সকালই কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দিনের এই সময়টার সঠিক ব্যবহার আমাদের জন্য পুরো দিনটি সুন্দর আর সফল করতে প্রভাব ফেলে।
সকাল আটটার আগেই যদি সেরে নিতে পারি আট কাজ তবে চিন্তা করুন তো, দিনের কতোগুলো কাজ এগিয়ে গেলাম আমরা। আসুন জেনে নেই কি কি করতে পারি এই সাত-সকালে:

পান করুন লেবু পানি
প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস লেবু পানি পান করলে আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বেশ সতেজ অনুভব করি।  ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু আমাদের শরীরের  টক্সিন বা ক্ষতিকর পদার্থ বের দেয়।

ব্যায়াম
সম্প্রতি ইস্টার্ন অন্টারিও রিসার্চ ইনস্টিটিউটে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায় সপ্তাহে অন্তত দুই দিন টানা দশ সপ্তাহ যারা সকালে ব্যায়াম করেন, তারা সামাজিকভাবে,  শিক্ষাজীবনে যেমন উন্নতি করেন, তেমনি তাদের মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়।

সংযোগ বিচ্ছিন্ন
হুম ঠিকই পড়েছেন। আমরা অনেকেই আজকাল সকালে ঘুম থেকে জেগেই প্রথমে অনলাইনে মেইল, ফেসবুক চেক করায় ব্যস্ত হয়ে যাই। এতে করে সারাদিনের জন্য আপনার ব্যস্ততা শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু সকালের কিছুটা সময় প্রযুক্তির সঙ্গে না দিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে যদি দিতে পারি তবে সারাটা দিন কাটতে পারে এক স্নিগ্ধ ভালো লাগায়। যেমন বারান্দায় টবে লাগানো গাছে একটু পানি দিতে পারি, অথবা প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে সকালের নাস্তাটাও সারতে পারি একসঙ্গে।

সারাদিনের জন্যই তো আলাদা থাকতে হবে, দুজন হয়তো ছুটবেন দুদিকে, সকালটা কাটুকনা একসঙ্গে।

 

স্বাস্থ্যকর নাস্তা
একটি সুষম স্বাস্থ্যকর নাস্তা, আমাদের সারাদিন কাজ করার ও চিন্তা করার শক্তি জোগায়।

মেডিটেশন 
মানসিক চাপ দূর করে, চলার পথে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে প্রতিদিন সকালের মাত্র ১০ মিনিটের মেডিটেশন।

প্রতিদিনের লক্ষ্য স্থির

জীবনে অনেকেই অনেক কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখি আমরা। কিন্তু সেই বড় লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে প্রস্তুতিটাও চাই প্রতিদিনের। এজন্য প্রতিদিনের লক্ষ্য স্থির করুন। আর দিন শেষে কতটুকু পূরণ হলো, তা লিখে রাখুন। যদি লক্ষ্য পূরণ না হয়ে থাকে, তবে কেন হয়নি সেই কারণগুলো খুঁজে বের করুন।

চেষ্টা করুন প্রতিদিনের লক্ষ্য ‍‍অর্জন করতে।

লক্ষ্য বাস্তব সম্মত তো?

প্রতিদিনের লক্ষ্য ঠিক করার সময় নিজের সময় ও সামর্থের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। লক্ষ্য এমন যেন না হয়, যে আপনার পক্ষ্যে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যায় বা বাস্তবসম্মত নয়।

বলুন “না”

“না” একটি শক্তিশালী শব্দ। আপনি হয়তো মানসিক চাপ বা খারাপ সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। এমন অবস্থায় আরও কাজের দায়িত্ব আপনার মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে করে আমাদের মধ্যে বিষণ্নতাও তৈরি হতে পারে। এজন্য কোনো কাজ যদি মনে হয় পারবেন না বা অতিরিক্ত কষ্ট হয়ে যাবে, তো সকালেই না বলুন “না”। সারাদিন থাকুন চাপমুক্ত।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button