লাইফ স্টাইল

স্বাস্থ্যবান পুরুষ হতে চাইলে যা করবেন

এ বি এন এ : লিকলিকে স্বাস্থ্যের পুরুষ বলে সালমানের কায়দায় হিরোইনের সামনে কীভাবে হাজির হবেন এই চিন্তায় অস্থির থাকেন অনেকে। পাশের পাড়ার বদমাইশ ছেলেটাকে দু ঘা মারতে না পারার যন্ত্রণা তাদের কুড়ে কুড়ে খায়। আবার কেউ কেউ তো দিনমান ‘রোগা-পটকা’, ‘তালপাতার সেপাই’ ইত্যাদি শুনতে শুনতে অতিষ্ঠ। যে যা-ই বলুক, শরীরটা ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা বোঝার একটা ভালো উপায় হলো ‘বডি মাস ইনডেক্স’ বা উচ্চতা ও ওজনের অনুপাতের হিসাব। সে অনুযায়ী ওজন কম হলে বিষয়টা ভাবা প্রয়োজন। কেননা অতিরিক্ত ওজন যেমন স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক তেমনি অতিরিক্ত ওজনহীনতাও বিপদ ডেকে আনতে পারে। হালকা-পাতলা শরীরটায় বাসা বেঁধে থাকতে পারে রক্তশূন্যতা, ঝামেলা থাকতে পারে পরিপাকের। এ ছাড়া মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের ঝুঁকি ও হাড়ের দুর্বলতাও চিন্তার বিষয়। ফলে ওজন বাড়ানোর প্রয়োজন হলে এই ছয় পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করতে পারেন।

পুষ্টিকর খাবারদাবার

ওজন বাড়াতে হলে খেতে হবে। যা খুশি তা-ই খেলে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি। ভারসাম্যপূর্ণ পুষ্টিকর খাবার। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের যথাযথ সমন্বয় থাকতে হবে খাবারে। মাংসপেশি গঠন আর ওজন বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিনের চাহিদা মেটানো গুরুত্বপূর্ণ। নানা ধরনের বাদাম, দুধ ও দুধজাত খাবার শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাবে।

পানির পরিমাণ

ওজন বাড়াতে হলে আগে খিদে বাড়াতে হবে। খিদে বাড়ানোর জন্য হজমে সহায়ক পানি পান করুন। সারা দিনে ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি খান। তবে, খেতে বসার ঠিক আগে পানি খাবেন না বা খাওয়ার মাঝখানেও পানি খাবেন না। এতে ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যায়।

আজেবাজে জিনিস কম খান

সকাল-দুপর-রাতের ভারী খাবারের মাঝে বারবার এটা-সেটা খাবেন না। কেউ কেউ বলেন দিনে তিন থেকে পাঁচ বেলা ভারী খাবার খাওয়াটাই ভালো। বেছে বেছে পুষ্টিকর খাবারে পেট ভরাতে হবে। হালকা-পাতলা শরীরে বারবার হাবিজাবি ভাজাপোড়া বা ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার খেয়ে ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে।

শর্করায় সতর্কতা

আপনার হালকা-পাতলা শরীর দেখে কাছের মানুষেরা হয়তো কেক-পেস্ট্রিসহ নানা অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার খেতে উৎসাহিত করবেন। কিন্তু অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবারের বিষয়ে সাবধান। ভিসেরাল ফ্যাট বা স্কিনি ফ্যাটের খপ্পরে পড়ে যেতে পারেন আপনি। এটা এমন চর্বিযুক্ত উপাদান যা হঠাৎ মেদ বাড়িয়ে না দিলেও দেহের ভেতরে নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গে বাসা বাঁধতে পারে। তাই শর্করা খেতে হবে বেছে বেছে।

শরীরচর্চা শুরু করুন

সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। আপনি যত হালকা-পাতলাই হন না কেন ব্যায়ামে আপনিও দারুণ উপকৃত হবেন। রাতে ঠিকঠাক ঘুমিয়ে পড়া আর সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার মতো অভ্যাসের কোনো বিকল্প নেই। তেমনি শরীরচর্চাটাও জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার ক্ষুধা বাড়বে। ফলে সাধারণ ক্ষুধা মন্দা কাটিয়ে উঠে আপনি খেতে পারবেন। নিয়মিত শরীরচর্চায় আপনার পেশি সুগঠিত হবে এবং শারীরিক শক্তি বাড়বে। যোগব্যায়ামের অনেক আসন চর্চা করেও আপনি উপকৃত হতে পারেন।

ধূমপান ত্যাগ করুন

যত বেশি ধূমপান করবেন আপনার খিদে না লাগার সমস্যা তত বাড়তেই থাকবে। অবশ্য জগতে অতিরিক্ত ওজনের মোটাসোটা ধূমপায়ীও প্রচুর আছেন এবং হাড় জিরজিরে রোগা-পটকা ধূমপায়ীও প্রচুর আছেন। কিন্তু কথাটা হলো ধূমপান কারও স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো না। আর ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পর সবারই প্রথম যে উপকার হয় তা হলো খিদে বাড়তে থাকা।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button