ল’ অফিস অব এহসানের সহকারি আইন বিশেষজ্ঞ ড. রফিক আহমেদ জানান, বৈধ কাগজ করার জন্য অনেকের কাছেই গিয়েছিলেন। অনেক অর্থও ব্যয় করেছিলেন, চেষ্টা করেছেন কিন্তু কোন কাজ হয়নি। আমাদের ল’ফার্ম থেকে আমরা তার জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলাম। তার ইন্টারভিউর সময় আমি সাথে গিয়েছিলাম। করোনাকালে তার গ্রিনকার্ড আমাদের কাছে এসেছে। আমি তাকে বিষয়টি জানিয়েছি। গ্রীনকার্ডের কথা শুনে ভেজায় খুশি হয়েছিলেন দরবার হোসেন। বলেছিলেন করোনা দুর্যোগ শেষ হলে তিনি অফিস এসে তার গ্রীনকার্ড নিয়ে যাবেন। কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস- দরবার হোসেন গত ১৬ মে তার জ্যামাইকাস্থ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন।(ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৪ বছর। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, হার্ট এ্যাটাক না করোনায় মারা গেছেন তা আমি সঠিকভাবে জানি না। তিনি বলেন, তার ছেলেরা আসছে তারাই ভাল বলতে পারবে। তিনি বলেন, সবচেয়ে দু:খজনক বিষয় হলো- যে কার্ডের জন্য ৩৫ বছর অপেক্ষা সেই কার্ড আসল ঠিকই; দরবার হোসেন কার্ডটি হাতে নিয়ে ধরেও দেখার সুযোগ পেলেন না। এই ৩৫ বছরে তিনি যে আর কি হারিয়েছেন তা তিনিই জানেন। কিন্তু গ্রীনকার্ডের স্বপ্ন যখন দরবার হোসেনের পূরণ হলো- তখনই পরপারে চলে যাবার সময়ও হলো। এটাই হলো নিয়তির খেলা।

উল্লেখ্য, দরবার হোসেনের দেশের বাড়ি ঠাকুরগাঁয়ে।
এ দিকে দুই দিন পর নিউইয়র্কে করোনায় আরও একজন বাংলাদেশী মারা গেছেন। নিউইয়র্কের ব্রুকলীনে বসবাসকারী শামসুন নাহার করোনায় আক্রান্ত হয়ে ব্রুকলীনের একটি হাসপাতালে গত ১৬ মে ইন্তেকাল করেন। তার দেশের বাড়ি সন্দ্বীপে। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
এ নিয়ে করোনায় ২৫৬ বাংলাদেশী প্রাণ হারালেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর।