

এবিএনএ : শনিবার সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ঘোষণা দেন, রাজধানীতে সমাবেশ কর্মসূচি পালন করতে না দেয়ার প্রতিবাদে রবিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের পালন করা হবে। ৫ জানুয়ারি বিএনপি ‘গণহত্যা দিবস’ আখ্যায়িত করে শনিবার সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। এ জন্য দলটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার জন্য পুলিশের অনুমতি চায়। অনুমতি না পাওয়ায় রিজভী এ ঘোষণা দিলেন। রিজভী বলেন, বিএনপি ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি রবিবার সারাদেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগর এবং ঢাকায় প্রতিটি থানায় থানায় পালন করা হবে। সে ক্ষেত্রে বিক্ষোভ কর্মসূচি বলতে কেউ যদি বিক্ষোভ মিছিল করে আবার কেউ যদি বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চায় তাহলে তাই করতে পারবে। অভিযোগ করে তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ঢাকায় বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। তাই আজকের কর্মসূচি করতে না দেওয়ায় আবারও প্রমাণিত হলো যে, তারা গণতন্ত্রের সব দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়েছে। নাগরিক স্বাধীনতার গলায় ফাসির দড়ি লটকিয়ে দিয়েছে। এখন নিঃশব্দ বোবাকণ্ঠই হচ্ছে আওয়ামী বাকশালীদের কাছে প্রিয়। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে সরকার কর্তৃক আজকের বিএনপির কর্মসূচিতে বর্বরোচিতভাবে বাধা দেওয়া তীব্র নিন্দা ঘৃণা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। এদিকে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে শনিবার সকাল থেকেই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কার্যালয়ের সামনে রাখা হয়েছে পুলিশ প্রিজনভ্যান, জলকামান, এবং এপিসি কার। তা ছাড়া সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপি সমর্থিত ৩ জন কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কার্যালয়ের সামনে দায়িত্বরত মতিঝিল জোনের এডিসি শিবলী নোমানী বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনেই পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে। তবে বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। এর বাইরে কিছু না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, দলের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ প্রমুখ।